ইন্দিরা এ কাহিনির কেন্দ্রীয় চরিত্র হলেও প্রধান চরিত্র নন। তাঁর কনিষ্ঠ পুত্রটি, শ্রীমান সঞ্জয়ও নন--বস্তুত চরিত্রের জন্য বরাদ্দ শব্দসংখ্যা দেখে তাদের প্রাধান্য নির্ধারণে লেখকের কিঞ্চিৎ আপত্তি আছে। এ নোয়ার নৌকো--আমার এই ছোট্ট ঝুড়ি, এতে বাজপেয়ী আছেন, দেখে যান নিজের চোখে আদবানি কেমন আছেন। ব্যারিস্টার মানু আছেন, আপন আইনি প্যাঁচ নিয়ে, অধ্যাপক প্রণববাবু খেলেন ঠান্ডা মাথা দিয়ে। আছেন টাটা, আছেন বিড়লা, বাজাজরাও আছেন সঙ্গে, সুরসম্রাট কিশোরদাদাও আছেন বটে এ রঙ্গে...
অর্থাৎ কবির ভাষায় এ লেখা ‘ভিন্ন ভিন্ন জীবনের জলছবি’, আর কেজো ভাষায় হল খিচুড়ি। চাল প্রধান হলেও অপরিহার্য নয়। অভাবে ডালিয়া দিয়ে দিব্যু কাজ চলে যায়। এই হয়তো জেএনইউ-তে সীতারাম ইয়েচুরি পুলিশ থেকে বাঁচতে পালাচ্ছেন, আবার তার পরের পর্বে কোথা থেকে জয়ললিতা চলে এলেন--এমন এ বইতে বিস্তর হয়েছে। রাজনীতির হ-য-ব-র-ল।