‘ফিলোসফির বয়স কত?’ বইয়ের নাম জানার পর থেকেই পাঠকদের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করে। এই নাম কেন!
আরও স্পষ্ট করে বললে, ফিলোসফির নির্দিষ্ট কোনো বয়স নাই। আমাদের যতটুকু চিন্তা, চেতনা, ভাবনা--- ততটুকুই ফিলোসফির বয়স।
ফিলোসফি যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করে, সেসব বিষয়ের মৌলিকত্ব ও গভীরতার কারণে পরিসংখ্যান বা ভৌত পরীক্ষার মাধ্যমে সেগুলোকে সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই যুক্তির হাতিয়ার বা বাহনকে ব্যবহার করতে হয়। ঘটনা ও তথ্য সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভুল ধারণা থেকে জ্ঞান লাভ করা যায়, কিন্তু ফিলোসোফার (দার্শনিক) কেবল তথ্যগত জ্ঞানের উপর নির্ভর করেন না। দর্শনের প্রধান কাম্য বিষয়--- প্রজ্ঞা।
প্রজ্ঞার অনুসন্ধান ও চর্চার মাধ্যমেই দর্শন বিকাশ লাভ করে। পিথাগোরাস সারাজীবন প্রজ্ঞার সাধনা করেছেন, কখনও জ্ঞানের গরিমা অনুভব করেননি। এ জন্য তিনি দার্শনিক হিসেবে বিদগ্ধ। দর্শনের জন্য যে প্রজ্ঞা কাম্য তার মধ্যে রয়েছে, অন্তর্দৃষ্টি, দৃষ্টিভঙ্গির অভ্রান্ততা, বিচারের ভারসাম্য।
এ-থেকে স্পষ্ট যে, সবকিছুই ফিলোসফির অংশ। তাই আমি আমার চিন্তা, চেতনা, ভাবনা, ভালো-লাগা, খারাপ-লাগা, মতামত ছোটো-ছোটো লেখার মাধ্যমে মলাটে আবদ্ধ করেছি। আমার শব্দই আমার ফিলোসফির বয়স!
* Poetry book which contains phylosophical quotes.
* The poetry express all kind of emotions from happiness o sorrow, from friedship to betrayal.