ভিক্টোরিয় যুগে লন্ডনে প্রাইভেট ডিটেকটিভ বলতে কেবল শার্লক হোমস ছিলেন, তা নয়। আরও বেশ কিছু গোয়েন্দা চরিত্রের উত্থান ঘটেছিল সেই সময়ে। তাঁদের মধ্যে একজন জনপ্রিয়তার নিরিখে খোদ হোমসকেই পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন। কে বেশি ভালো গোয়েন্দা- ম্যাক্স, নাকি শার্লক, তা নিয়ে ইউরোপের গোয়েন্দা গল্পের পাঠকমহলে এখনও তর্ক চলে। ঠিক যেমনটা আমাদের ফেলুদা বনাম ব্যোমকেশ। আর্নেস্ট ব্রামা সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র ম্যাক্স ক্যারাডসকে শার্লক হোমসের সঙ্গে তুলনা করেছেন স্বয়ং জর্জ অরওয়েল। বিশ্বসাহিত্যে ম্যাক্সের মতো গোয়েন্দা বিরল। দৃষ্টিশক্তিহীন এই গোয়েন্দার রহস্যভেদের চারটি অস্ত্র ঘ্রাণ, শ্রবণ, স্পর্শ ও মগজাস্ত্র। ঠিক এই কারণেই সমসাময়িক গোয়েন্দাকাহিনিগুলোর তুলনায় ম্যাক্স ক্যারাডসের কাহিনিগুলোর প্লট বেশ আলাদা এবং সময়ের তুলনায় বেশ কিছুটা এগিয়ে। তাঁর ভক্তরা তাঁকে 'দ্য ডিফেকটিভ ডিটেকটিভ', 'দ্য ব্লাইন্ড ডিটেকটিভ' বা 'দ্য ব্লাইন্ড শার্লক হোমস' নামেও ডাকতেন। এই প্রথমবার সেই গোয়েন্দার সব কাহিনি সমগ্র রূপে বাংলায়। প্রথম খণ্ডে রইল ম্যাক্স ক্যারাডসের আবির্ভাবের প্রথম আটটি কাহিনি।