'নগ্নতার উৎস সন্ধানে'র কাহিনি এক টিভি চ্যানেলের কিউবিকলের আড়ালের কথা। পাত্র-পাত্রী আপনাদের চেনা। যদিও আলো পড়ে পড়ে হয় তাদের মুখ চকচক করছে, নয় ঝলসে পুড়ে গেছে। তাই আপাত অচেনাই ঠেকবে। কবি অলোকরঞ্জন দাশগুপ্তের কাব্য সংকলন আছে 'দেবীকে স্নানের ঘরে নগ্ন দেখে'। কিন্তু দেবী যদি নিজেকে আবিষ্কার করত হোটেলের বন্ধ-ঘরে নগ্ন হয়ে পড়ে আছে। আর, তার শরীর ছাড়া, এই দেহ ছাড়া, তার সব কিছু খোয়া গেছে। তাহলে কেমন হতো? জেন-ওয়াই দেবী নিশ্চয়ই শুয়ে শুয়ে কাঁদত না। বরং বুঝে যেত, এতদিন তার চারপাশে চেনা-অচেনা অনেক শত্রু ছিল, এখন থেকে এই দেহও তার শত্রু হয়ে দাঁড়াল। এবার তার এই শরীর হয়ে যাবে অশরীরী। ডিজিটাল জগতে ঘুরবে ফিরবে। বাতাসে ভাসবে। ভাইরাল হবে। আর সে ক্রমশ হয়ে যাবে এই সাজানো সমাজের ভাইরাস। না, সে মানবে না। সে বদলা নেবে? কীভাবে নেবে? এই কাহিনির শুরু সেই জ্বলন্ত নগ্নতার থেকে। নগ্নতা কখনও জীবনের উৎসব, কখনও সৌন্দর্য, কখনও প্রতিবাদ, কখনও আবার অপমান! 'নগ্নতার উৎস সন্ধানে' গল্পের অপমানিতা নায়িকার সঙ্গে এগিয়ে এসেছে 'উধাউ'। আতশ কাচের নীচে কোনও সম্পর্ক নয়, বরং আতশ কাচ এখানে আগুন জ্বালাবার উপকরণ হয়ে উঠবে |