ভয় যা ভূতের থেকেও ভয়ংকর। আমরা শুনেছি আত্মা অবিনশ্বর, কিন্তু এখানে এমন একটি শক্তি রয়েছে, এমন একটি শক্তির কথা বলা হয়েছে যা শুধু অবিনশ্বরই নয় অত্যন্ত মাত্রায় নেগেটিভ বা নএŒর্থক, নেতিবাচক। যা যুগে যুগে কালে কালে মানুষকে বিপন্ন করে এসেছে। যা মানুষকে ভয় দেখিয়ে এসেছে। মনের মধ্যে আমাদের অনেক কালিমা, অনেক ক্ষত রয়েছে--- সেই ক্ষত সেই কালিমাকে সেই ভয়াবহ কিছু চিত্রকে, বিকৃতিকে আমরা একটি সুন্দর চাদর দিয়ে ঢেকে রাখি।
এই সিরিজটি পড়লে আপনি ভূতকে নয়, আপনার পারিপার্শ্বিককে, গহীন কালো রাত্রির অন্ধকারকে, চুপিসাড়ে পিছু করা কোনো ছায়াকে, এমনকি নিজেকেও ভয় পেতে শুরু করবেন। ভৌতিক সত্ত্বাকে তবু মন্ত্রতন্ত্র দিয়ে আটকানো যায়। কিন্তু যে বিকৃত দানব মনের মধ্যে ঘুপচি কালো ঘরে বাস করে, তাকে ঠেকাবেন কী করে? সাইকিকরা নানা ক্যামেরার সাহায্যে অলৌকিক অস্তিত্বের উপস্থিতি দেখতে পান। কিন্তু যে ভয়াল অস্তিত্ব মানুষের অবচেতনে থাকে, তাকে দেখা যায় না! হয়তো কোনো নির্জন অমাবস্যার রাতে আপনারই পিছনে এসে দাঁড়াবে আপনারই দ্বিতীয় সত্ত্বা! হয়তো নীরবে এক তথাকথিত নিরীহ মানুষের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলেছে এক হিংস্র রাক্ষস! হয়তো বা কখনও নিজের অজান্তেই আয়নায় তার কদর্য প্রতিফলন এসে পড়ে যা দেখলে মনের মধ্যে জন্ম নেয় এক অনাবিল আতঙ্ক! তাকে মাত দেওয়া যায় না, বশীভূত করা যায় না। যে বিকৃতি, যে বিকলনের প্রেত চুপিচুপি আসে, তাকে এড়ানো যায় না!