ডাক্তারি প্র্যাকটিসের নিস্তরঙ্গ যাপনেই জীবন সুরক্ষিত রাখতে পারতেন ডা. সরিৎপতি সর্বজ্ঞ। অথচ সমান্তরালে সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে তিনি চালাচ্ছেন বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণাও। মানবজাতির উন্নতিকল্পে তাঁর বহু বিচিত্র আবিষ্কারে নবতম সংযোজন ‘বোধিবীক্ষণ’—এক অত্যাশ্চর্য যন্ত্র যা মানুষের উন্মাদনার নির্ভুল পরিমাপ করতে সক্ষম। এ-যন্ত্র সেইসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে যারা মানসিক রোগীর ভান করে আইনি শাস্তি এড়াতে সচেষ্ট। এদিকে ডা. সর্বজ্ঞ আসলে বৈজ্ঞানিকদের এক গুপ্ত সংগঠনের সদস্য। সেই সংগঠনের দ্বিবার্ষিকী সম্মেলনে যোগ দিতে দূরে পাড়ি দিতে হচ্ছে তাঁকে। ওঁদের কেউ-কেউ 'ডেথট্র্যাপ' নামে এক ভয়ংকর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে সন্দেহ। সম্ভবত সেই ষড়যন্ত্রের ফাঁদেই মৃত্যুবরণ করেছেন একাধিক বিজ্ঞানী। তবে কি এবার তাঁর পালা? কারণ নিজ-নিজ আবিষ্কারের ডালি সাজিয়ে সেখানে অপেক্ষারত কুচক্রী বিজ্ঞানীরা।
ভ্রমণ, কৌতুক ও কল্পবিজ্ঞানে আবৃত শ্বাসরোধকারী এই রোমাঞ্চকর রহস্যোদ্ঘাটন প্রত্যক্ষ করতে তাঁর সঙ্গ নিয়েছে সহকারী তৌর্যত্রিক কুশারি।