সাম্রাজ্যবাদী বললেই মনের মধ্যে প্রথমেই চিক্কুর খেলে যায় একটাই রাষ্ট্রের নাম — আমেরিকা। আমেরিকা কি সত্যিই সাম্রাজ্যবাদী? বিশ্বের তথাকথিত বামধারায় বিশ্বাসী দেশগুলি (যেমন কিউবা, সোভিয়েত যুক্তরাষ্ট্র, চিন) নিজেদের প্রগতিশীল এবং সাম্যবাদী বলে থাকে, সেটা কি সত্যি? তাহলে সত্য কী, আর যথার্থই বা কী? বাম আর দক্ষিণের এই যে ভেদ, তা কি প্রকট? নাকি কখনও সখনও ডাইনে বাঁয়ে আর কোনও ফারাক থাকে না? তখন প্রবল আগ্রাসী রূপ নিয়ে বাম ঝাঁপিয়ে পড়ে ডান দিকের ওপরে। চিন কি সাম্যবাদী দেশ নাকি সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র? বর্তমানের চৈনিক আগ্রাসনের জলছবি কি সুদূর অতীতেই ফুটে উঠেছিল? হিন্দি – চিনি ভাই ভাই জিগির কি তাহলে শুধুই ছেলেভোলানো মন্তর ছিল?
দক্ষিণ আর বামের এই ইন – ইয়াং রূপ নির্ণয়, সাম্রাজ্যবাদ আর সাম্যবাদের এই পাশাখেলা, নায়ক আর খলনায়কের চরিত্র চিত্রায়ণের দলিল হল যুযুৎসু — যার একপক্ষে সাম্রাজ্যবাদ, অপর দিকে সাম্যবাদ। বাকি সব আসলে মোহমায়া।
হ্যারেৎজ্ঃ
অনেকটা বাধ্য হয়েই নিজেদের ঐতিহ্য, সংßৃñতি, ইতিহাস এবং ভবিষ্যতকে রক্ষা করার স্বার্থে, রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জন্ম হয় ইসরায়েলের। সদ্যোজাত দেশটির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে সমগ্র আরব দুনিয়া। হারে না ইসরায়েল। সেই লজ্জা কিন্তু ভোলে না আরব লীগ। আঘাত হানে ছ-দিনের যুদ্ধে এবং তারপর আবার য়ম কিপ্পুর ওয়ার-এ। এসব ছাড়াও বাড়তি পাওনা হিসেবে পিএলও, ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর, ফিলিস্তিনি সন্ত্রাসবাদীদের আক্রমণের মধ্যেই নিজেদের ধার বাড়াতে থাকে ইসরায়েল। আর প্রত্যেক লড়াই তারা শেষ করে জয় দিয়ে। মুখে জয়ধ্বনির মতো করে বলে---‘মজল তভ’, যার ইংরেজি তর্জমা করলে দাঁড়ায় --- চিয়ার্স।
আশা করি, বইটা পড়তে পড়তে পাঠক মনে মনে হলেও অন্তত একবার বলবেন, ‘মজল তভ, ইসরায়েল! মজল তভ, জিউ!’