বিশ্বসাহিত্যে ইংরেজি সাহিত্যের ধারাকে যদি তিনটি বিভাগে ভাগ করা যায় তবে, ভিক্টোরিয়ান যুগকে মূলত মধ্যযুগ হিসাবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। এই যুগে ক্লাসিকের ধারাকে যিনি স্বমহিমায় বহন করেছেন, তাঁদের মধ্যে চার্লস ডিকেন্স অন্যতম। অনেক সাহিত্য-সমালোচক ও স্কলারের মতে, ভিক্টোরিয়ান যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক চার্লস ডিকেন্স, অন্যতম জনপ্রিয় তো বটেই, যে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েনি আজও।
‘ডেভিড কপারফিল্ড’, ‘অলিভার ট্যুইস্ট’, ‘গ্রেট এক্সপেক্টেশনস’, ‘আ টেল অব টু সিটিজ’- এরকম অসংখ্য ওয়ার্ল্ড ক্লাসিকসের রচয়িতার ভৌতিক-অলৌকিক ঘরানার লেখাগুলিও যে রসে-গুণে সমৃদ্ধ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রায় ২৪টি অলৌকিক ধারার গল্প ও ১টি হরর উপন্যাসিকা আমরা পেয়েছি তাঁর কলমে। যার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ‘আ ক্রিসমাস ক্যারোল’। পরবর্তীতে এই উপন্যাসিকার অনুপ্রেরণায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য সাহিত্য-নাটক-সিনেমার প্রেক্ষাপট। হিউমার, স্যাটায়ারের মিশ্রণে গল্পগুলো আসলে আমাদের বিভিন্ন বিষয়ে ভাবিয়ে তোলে। শিক্ষা দেয় প্রকৃত মানবিকতার। এই গল্পগুলি একাধারে যেমন ভীতির সঞ্চার করে পাঠক মস্তিস্কে, ঠিক তেমনই আন্দোলিত করে পাঠক-মন। এরকমই ১০টি সেরা অলৌকিক ধারার গল্প ও ১টি উপন্যাসিকার পূর্ণাঙ্গ অনুবাদ ধরা রইল এই প্রথম খণ্ডে।