-" ...এরপর টানেলটা পেরিয়ে গেলেই টোপাগুড়ির জঙ্গল। গভীর জঙ্গলের ভেতর দিয়ে রেললাইন গিয়ে একদম পড়েছে পরের স্টেশনে। শোনো ভায়া, টোপাগুড়ির জঙ্গল আর পাঁচটা জঙ্গলের মত নয়। ও জঙ্গলের নানান বদনাম আছে। একবার ট্রেন জঙ্গলে ঢুকে গেলে যাই হয়ে যাক, ট্রেন যেন না থামে। আমার কথাটা বুঝলে? যাই দেখো না কেন, যাই হোক না কেন, ওই জঙ্গলে ট্রেন থামবে না। কোনোভাবেই না। যাত্রীদের জীবন মরণ ব্যাপার কিন্তু। বুঝেছ?"
টোপাগুড়ির জঙ্গলে কেন বারবার ট্রেন থামাতে বারণ করলেন সেনবাবু? কী আছে সেই জঙ্গলে? আখিদা আসলে কী? কেন রাতের আঁধার নামলে তার নাম মুখে নিতেও ভয় পায় মানুষ। কী হবে যখন এক শীতের রাতে কুয়াশামাখা জঙ্গলে থেমে যাবে কল্পলতিকা এক্সপ্রেসের চাকা? কারা বেঁচে ফিরবে? কারাই বা হবে আখিদার শিকার? কী হবে যখন নেমে ভয়ংকর সেই " দুঃস্বপ্নের রাত"?
আখিদার অতীত কী? কোন ভয়ংকর রহস্য লুকিয়ে আছে কুড়ুলকন্যার অতীতে? আখিদার শেষ কি আদৌ সম্ভব? কিন্তু কিভাবে? যারা বেঁচে ফিরেছিল তারা কি আদৌ পারবে আখিদাকে শেষ করতে? নাকি তাদেরকেও পরিণত হতে হবে আখিদার শিকারে! কী হবে যখন শুরু হবে "কুড়ুলকন্যার অন্তিম অধ্যায়"?
" ঝুমনি " র পর আবারও একবার দমবন্ধ করা আতঙ্ক ও টান টান উত্তেজনার স্বাদ পেতে পড়ুন ত্রিজিৎ করের লেখা সম্পূর্ণ হরর থ্রিলার উপন্যাস " আখিদা "। সমস্ত প্রশ্নের উত্তর মিলবে সেখানেই!