‘ম্যাজিশিয়ান’ --- ঝলমলে জোব্বা গায়ে রহস্যময় এক মূর্তি, যে হাতের কারসাজিতে দক্ষ। এ তো গেল প্রদীপের আলোর দিক। আর অনালোকিত দিক? ধরুন, আপনি ভিড় বাস বা ট্রেনে সহসা আবিষ্কার করলেন আপনার ওজন কিঞ্চিৎ কম পড়েছে। কিন্তু কেন? কীভাবে? এত লোক থাকতে কেনই বা...?--- পকেটমার। এ কথা ঠিক, পেশাগত দিক থেকে নিন্দিত হলেও তাঁরা কিন্তু একশ্রেণীর নন্দিত জাদুকরও। একগাদা সজাগ চোখের সামনে রীতিমতো হাতসাফাই--- একে সম্মোহন বা জাদু ছাড়া আর কি-ই বা বলা যায়! এ হেন বিরল প্রজাতির হস্তশিল্পীর জীবনও বিচিত্র ও বহুমাত্রিক। যা অনর্গল বিপন্নতার কথা বলে এবং সেই বিপন্নতার পথেই মানুষগুলো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চায়।
বলাবাহুল্য, উপেক্ষার আখ্যান ভূমিতে অভ্যস্ত জাদুকরেরা অস্তিত্বের যুদ্ধে চোয়াল শক্ত করে মাঠে নামে। তারপর?
প্রাত্যহিকতার তলায় চোরাস্রোতের মতো অস্তিত্বের সংকট নবীন, আনন্দ, রঘু, পাঞ্জা, রত্নার মধ্যে তীব্রভাবে জেগে ওঠে। সর্বস্ব হারিয়ে গুটিগুটি পায়ে এ কোন্ সকালের দিকে এগিয়ে চলে ওরা?