এটি মৃত কৈটভের পূর্ণাঙ্গ সেট। এই কম্বোতে থাকছে মৃত কৈটভ সিরিজের ৩টে বই। সঙ্গে থাকছে একটি মৃত কৈটভ বক্স, বইগুলিকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। শুধু বক্স-ই নয় তার সঙ্গে থাকবে আরও বেশ কিছু মার্চেন্ডাইজ। যেমন মৃতকৈটভ সিরিজের বিভিন্ন চরিত্রদের পোস্ট কার্ড, কৈটভ বাহিনির বিরুদ্ধে লড়াইতে অংশগ্রহণ করার ইনভিটিশন। আরও অনেক ফ্রি বি-স, যা ক্রমশ প্রকাশ্য।
মৃতকৈটভ ১ঃ সাবধান পাঠক, দেবতার ঘুম ভাঙছে
ত্রিপুরার এক জঙ্গলে গ্রামবাসীদের দেবতা থাকেন। দেবতা নিজের ভোগ নিজেই চয়ন করেন। উপজাতি গ্রামবাসী ছাড়া কারোর সেই জঙ্গলে প্রবেশাধিকার নেই। সেই গ্রামকে কেন্দ্র করেই এই রোমহষর্ক কাহিনি। এই কাহিনি এক রোমাঞ্চকর অনুসন্ধানের যা শেষ হচ্ছে বিষ্ণুপুরাণের এক অজ্ঞাত অধ্যায়ে।
মৃতকৈটভ ২ঃ এবারে আর শুধু জঙ্গল নয়, মৃতকৈটভের অভিযান পৌঁছে গেছে পুরীর জগন্নাথের মন্দিরে। ব্রহ্মপদার্থ পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী বস্তু। সেই বস্তুর সন্ধান যতটা জটিল তার থেকে বেশি জটিল এই যাত্রাপথ। রামানুজের 'সামনে এবার কঠিন প্রতিপক্ষ।
কৈটভের সঙ্গে কর্কট এসে জুটেছে। কে এই কর্কট? কেন সে এতোটাই ভয়ঙ্কর? অগ্নি গন্দবেরুন্দা দেবতাই বা কোথায়? আবার কি দেবতা জেগে উঠবেন? নাকি এবার শয়তানের জেগে আজ উঠার পালা? উত্তর খুঁজেছেন লেখক- সৌরভ চক্রবর্তী, আপনারাও এই
রহস্যাবৃত যাত্রাপথের সঙ্গী হয়ে পড়ুন।
মৃতকৈটভ ৩ঃ সমুদ্রমন্থনে উঠে এসেছিল হলাহল বিষভান্ড। দেবাদিদেব মহাদেব সেই বিষ পান করেছিলেন। তার ফেলে দেওয়া বিষভান্ডে অল্প বিষ অবশিষ্ট ছিল। সেই বিষ থেকেই কলির সৃষ্টি হবার কথা। কিন্তু তার আগে সেই বিষের সন্ধানে বেরিয়ে পড়েছে কৈটভ। কৈটভই কলিপুরুষ হতে চায়। যদি এই অঘটন ঘটে তাহলে সৃষ্টি-স্থিতি-লয় বিঘ্নিত হবে। নষ্ট হবে একটা যুগের সম্পূর্ণ পরিকল্পনা। হলাহলের গোপন যাত্রাপথ বিপদসংকুল। রামানুজের সামনে কঠিন এক পরীক্ষা উপস্থিত। এই পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া মানেই ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হওয়া। এই অধ্যায় দেবতার নয়, এই অধ্যায় অসুরের জাগ্রত হবার অধ্যায়। তাই 'হলাহল বিষভান্ড'-পর্ব মৃতকৈটভ সিরিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।