মন হল মালিক। ভয় তার ক্রীতদাস। মনের মর্জি হলেই মস্তিষ্কে নিজের রাজত্ব বিস্তার করে ভয়। কিন্তু এই ভয় হল উটের মতো। তাঁবুতে একবার মুখ গলাবার অনুমতি পেলে গোটা শরীরটাই এমন চতুরতার সঙ্গে গলিয়ে দেয় যে মনের হাতে আর মগজের অধিকার থাকে না। এরপরেই মগজ থেকে সমগ্র সত্ত্বায় মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে পড়ে ভয়, আতঙ্ক। লৌকিকের আড়ালে যে অলৌকিকের বাস, মন তাকেই প্রত্যক্ষ করে সর্বক্ষণ। কখনও গহীন মনের তলে ঘুমিয়ে থাকা নৃশংসতা উঠে আসে মরণরূপী আতঙ্ক হয়ে।
দুইখানি উপন্যাসিকা ও একটি বড়ো গল্প নিয়ে এই ‘মোহিনী মহাকালের ছায়া’। মোহিনী অর্থাৎ সম্মোহন, মহাকাল অর্থাৎ সময় এবং ছায়া মানে যা কায়াহীন, অশরীরী। নাহ, ভূমিকাতে এর চেয়ে বেশি কিছু বলব না। পাঠকই খুঁজে নেবেন এই নামের অন্তর্নিহিত অর্থ।
আর হ্যাঁ, ভয় মানে শুধুই ভূত নয়। ভয় একটা মানসিক ও সামাজিক সমস্যা যার থেকে এবং যার জন্য ভয়ের জন্ম হতে পারে। আর সেখান থেকেই শিউরে ওঠা কিছু অবয়বের জন্ম। তাদেরই হয়তো আমরা ভূত বলে থাকি।
এবার যান, পাতা উলটে ভয় পান ও ভয়কে জয় করুন।