৬২০ খ্রীষ্টপূর্ব, বারাণসী সামান্য এক ব্যধিতে মারা গেছে মহর্ষি চিকিৎসক সুশ্রুতের প্রিয় শিষ্য পরাশর। সুশ্রুতের অশান্ত মনের গহীন অন্ধকার থেকে উঠে আসছে এক অমোঘ নির্দেশ “....পবিত্র গ্রন্থে জীবনের সন্ধান কর... মৃতের দেহে প্রাণ সঞ্চার কর... রক্তবীজ প্রস্তুত কর সুশ্রুত....” শল্যচিকিৎসক সুশ্রুত লিখলেন সুশ্রুত সংহিতা রুধিরবৃক্ষম... সত্যিই কি তবে পৃথিবীর বুকে জন্ম নিয়েছিল রক্তবীজ? ১৮৭০ খ্রীষ্টাব্দ, আরব সাগরের বুকে সবার চোখের আড়ালে আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পড়ছে পৃথিবীর বুকে ঘটে যাওয়া সবথেকে বড় ঐতিহাসিক রহস্য... কখনও কি ঘুম ভাঙবে তার? ওদিকে ইংল্যান্ডের মাটিতে হচ্ছে আর এক রহস্যের বীজ বপন... বিজ্ঞানী বেনেটের গবেষণাগারে সারি সারি মৃতদেহ... কিন্তু কেন? ১৯২০ খ্রীষ্টাব্দ, অশান্ত কলকাতার বুকে দুই হতভাগ্য সমস্ত পেশায় ব্যর্থ হয়ে পসার বসালো এক ডিটেকটিভ এজেন্সির... পসার কি তাদের জমবে? নাকি এখানেও জুটবে হতাশা? প্রথম মক্কেল হয়ে এলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক যতীনবাবু... শোনালেন এক অত্যাশ্চর্য আখ্যান... বর্ধমান রাজবংশ ধ্বংস... ভীমগড় দূর্গ লুঠ... ঠগীদের অজ্ঞাত ইতিহাস... ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির চাতুরী... তারপর...