কালীপদ তিক্ত, ক্লিষ্ট কন্ঠে চোখ তুলে ধীরে ধীরে কইলো-- "বড়ো ভয়ানক বিপদ! এই গাঁয়ে আপাই ঢুকেচে ডাক্তার"। এই কথা শুনে আমার অন্তরাত্মা শুকিয়ে উঠলো। তারপর?
ডাকিনীর বিল গ্রামে হানা দিলো এক অতি ভয়ঙ্কর বিপদ! তীক্ষ্ণ, ক্ষুরধার মেধার এই নৃশংস হত্যাকারী সহস্র রকমের ভেক ধরে, ছলে ভুলিয়ে হত্যা করে চললো গাঁয়ের লোকেদের। সন্ধান পাওয়া গেল এক অসামান্য প্রাচীন বিদ্যার, যা আমূল বদলে দিতে পারে পৃথিবীকে। কালীপদ মুখুজ্জে কি পারলো দ্বিতীয়বার সেই আপাইয়ের মোকাবেলা করে এই নরমেধকে বন্ধ করতে?
২) কালীগুণীন আর ছিন্নমস্তার পুঁথি
গণপতি কবিরাজ নাকি সুদূর পর্ব্বতের কোনও এক গাঁ থেকে সন্ধান পায় এক মহা আশ্চর্য বিদ্যার, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভিত নড়িয়ে দিতে সক্ষম! কি সেই বিদ্যা? সেই সাত রাজার ধন পুঁথিকে হস্তগত করতে আক্রমণ করলো এক নরপিশাচ। কালীগুণীন কি পারবে সেই অসম্ভব ধূর্ত নররাক্ষসকে নিজের কূটনৈতিক বুদ্ধি দ্বারা পরাস্ত করতে?
৩) কালীগুণীন এবং বাঘামূড়ার আতঙ্ক
গাঁয়ের বৃদ্ধ সব কথা শুনে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লো! “এ কি সর্বনাশ করেচিস তোরা? বাঘের হাতে মানুষের মাথা আর ধড় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে সেই দেহে কারা জন্ম নেয় তা তোদের জানা নাই? হা ভগবান!”—- আর তারপর? তারপর আরম্ভ হলো সাতখানা গাঁ জুড়ে এক নৃশংস নরবাঘের তান্ডব! সে ছলে বলে কৌশলে আরম্ভ করলো নৃশংস নরহত্যা। কালীগুণীন কিভাবে লড়বে এই মানুষ আর বাঘ-মানুষের মধ্যেকার অসম যুদ্ধ?
৪) কালীগুণীন আর বাঘের থাবা
দেবেন্দ্র জমিদার হলেও হরেক রকম পরীক্ষা নিরীক্ষার পাগলামি রয়েছে তাঁর। একখানা প্রাচীন পুঁথিতে এইরকমই একটা রহস্যের সন্ধান পেয়ে দেবেন্দ্র আবিষ্কার করে ফেললো এক অসামান্য আরক! যে আরকের দুর্নিবার প্রভাবে মানুষের শরীরে আমূল পরিবর্তন ঘটে এবং সে পরিণত হয় একধরণের অন্য রাক্ষসে। কেমন সেই রাক্ষসের স্বরূপ? হাতকাটা সাধু কেন নিজের পূর্ণশক্তির প্রয়োগ করে ঝাঁপিয়ে পড়লো এই আরকের সন্ধানে? কালীগুণীন কি এবারেও নিজের ক্ষুরধার মেধার দ্বারা পারবে এই রাক্ষসের থেকে এককদম এগিয়ে যেতে?
৫) কালীগুণীন আর রাহুর গ্রাস
সুন্দরবনের একখানা অখ্যাত গাঁয়ে খননকার্য চালাতে গিয়ে উঠে এলো একখানা আস্ত প্রাসাদ! প্রাসাদ, নাকি পুরাকালের কোনো কারাগার? কে বন্দী ছিল সেই অন্ধকূপে? এরপরেই গ্রামের বুকে শুরু হয় পরপর ভয়ানক নরমেধের পালা। কালীগুণীন কিভাবে মোকাবেলা করলো এই উগ্র দানবের?