আমাদের মনের গহীনে যে ভয়ের বাস, সেই ভয় সব সময় যে অমূলক হবে তেমন কিন্তু নয়। হতে পারে, সে তার কালো ছায়া নিয়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আমাদের ঘাড়ে, আমাদের অলক্ষ্যেই। সর্বদা সে তার রক্তচক্ষু টিকিয়ে রেখেছে আমাদের প্রত্যেক পদক্ষেপে, কে বলতে পারে?
এক বাবা-ছেলের ছোট্ট পরিবার। তাদের নিতান্ত সাদামাটা জীবনে অযাচিত ভাবে যদি নেমে আসে কোনও অবাঞ্ছিত অস্তিত্বের ছায়া? কী হবে যদি নিজের অতি সামান্য এক ভুলের জন্য মাশুল গুনতে হয় অতি ভয়ঙ্কর কোনও পরিণতি দিয়ে?
এক ছা-পোষা চাকরিজীবী মানুষ। যাতায়াতের সুবিধের জন্য মাস খানেকের জন্য অফিসের কাছাকাছি ভাড়া নিলেন একটা অতি সাধারণ পুরনো খালি বাড়ি। কিন্তু বাড়িটাকে বাইরে থেকে যতটা সাধারণ মনে হয়, ঠিক ততটাই কি? সত্যিই কি সেখানে থাকে না আর কেউ? তবে কেন নিত্যদিন সেখানে ঘটতে দেখা যায় নানা আশ্চর্যলৌকিক ঘটনা?
একটি স্কুল। যেখানে ছোট্ট ছোট্ট ফুলের মত শিশুরা পড়ে, খেলে, ছুটে বেড়ায়। অথচ সেই আনন্দঘন পরিবেশের আড়ালেও অন্ধকার থাবা গেঁড়ে বসে থাকে, সুযোগ বুঝে ঝাঁপিয়ে পড়ার অপেক্ষায়। কী আছে সেখানে? কোন গোপন, নৃশংস রহস্য লুকিয়ে রয়েছে সক্কলের চোখের আড়ালে? মাঝে মাঝে কি সে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে বের হয় না? কী ঘটে তখন?
কে রয়েছে এই সবকিছুর নেপথ্যে? একটা নাম কেবল লুকিয়ে আছে... সেই নাম এক ত্রাসের নাম... এক মূর্তিমান বিভীষিকার নাম... সেই নাম, ব্যাঙা...