ব্রেকিং নিউজ +
একটি উপন্যাস “ব্রেকিং নিউজ” ও দুটি নভেলা “পুজোর ডায়েরি” এবং “শারদীয়া”-র সংকলন “ব্রেকিং নিউজ+”।
ব্রেকিং নিউজঃ নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের নতুন কোনও মোড় নয়। রাজ্য রাজনীতির নতুন কোনও সমীকরণও নয়। লিওলেন মেসি কলকাতার কোনও ক্লাবে সই করছেন না। টিআরপি তোলার কোনও ব্রেকিং নিউজ নয়। এক রিপোটার্স প্যাডের বই হয়ে ওঠার কাহিনি। রিপোর্টারের কাছে প্রেমিকার চিঠির থেকেও ব্যক্তিগত তার রিপোটার্স প্যাড। সেই প্যাডের রিপোর্টের খবর হয়ে ওঠা, খবর না হওয়া, প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় তথ্যের রসদেই তৈরি এই কাহিনি। যে-খবর পৌঁছয় না আর-সবার কাছে, সাংবাদিকের সেই মনের জানালার খবরও অক্ষরবন্দি হয়েছে এই বইয়ে। সংবাদ মাধ্যমের গভীরের সংবাদ থেকে সাংবাদিকের একান্ত ব্যক্তিগত খবর। যার প্রতিটি পলে-অনুপলে ছড়িয়ে আছে, জড়িয়ে আছে রোমাঞ্চ।
পুজোর ডায়েরিঃ
ঋষভ, এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী চিত্রপরিচালক। দৃঢ় বিশ্বাস, সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল ঘরানার মৌলিক ছবি করে বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলবে বর্তমান বাংলা চলচ্চিত্র জগতে। কিন্তু অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষা প্রায়শই ডেকে আনে স্বপ্নভঙ্গের হতাশা।
ঋষভের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। আপামর বাঙালি যখন দুর্গা মহোৎসবের আনন্দে আপ্লুত তখন ঋষভের জীবনের চতুর্দিকে বড় বেশি শূন্যতা। এই শূন্যতার পরিসমাপ্তি তার আত্মহননের সিদ্ধান্তে। ঋষভের জীবন-চলচ্চিত্রে এবার কী মোড় আসে তা নিয়েই গল্প এগোয় – “পুজোর ডায়েরি”।
শারদীয়াঃ
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র সমালোচক মহেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়ের লন্ডন প্রবাসী মেজভাই স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা তৃণাকে নিয়ে এলেন কলকাতা। উদ্দেশ্য, কলকাতার দুর্গা পুজো। তাঁদের এয়ারপোর্টে রিসিভ করার দায়িত্ব পড়ল ঋতৃণের উপর। প্রেমে পড়ল ঋতৃণ। শুরু হল কলকাতার অলিতে-গলিতে তৃণা আর ঋতৃণের পূজা পরিক্রমা। ভালো লাগতে শুরু করল তৃণারও। কিন্তু ভালো লাগার রেশ কি স্থায়িত্ব পেল পুজোর শেষ অবধি? নাকি অহংকারী নায়িকার মতো এবারেও ঋতৃণকে প্রত্যাখ্যান করল প্রেম? পুজোর পরিবেশে মিষ্টি মধুর প্রেম নিয়ে “শারদীয়া”।