অ্যাডভেঞ্চার করতে কার না ভালো লাগে। তার উপর যদি সেটা হয় টিনটিন এন্ড কোম্পানির সঙ্গে তাহলে তো কোনও কথায় নেই।
হ্যাঁ, টিনটিনরা কমিকস বইয়ের পাতা থেকে সাউন্ডলেস ইনভিজিবল প্লেনে চড়ে পিকনিকে এসেছে ছাঙ্গু লেকের কাছে এক পোড়ো মনাস্ট্রিতে। তবে এবারে পিকনিকের উদ্দেশ্য আরও গভীর। প্রোফেসর ক্যালকুলাস যে গবেষণা নিয়ে এসেছেন সেখানে, সফল হলে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাবে যুদ্ধ। আর কোনও সৈনিককে প্রাণ দিতে হবে না সীমান্ত রক্ষায়। সিয়াচেনের যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়ে এক দৃষ্টিহীন চৈনিক লামা চুং ওয়াং আর এক মরণোন্মুখ ভারতীয় সৈনিকের কাছ থেকে ক্যালকুলাস পেয়েছেন এর সূত্র। কী সেই সূত্র? সূত্র লুকিয়ে আছে লাল কাপড়ে মোড়া সান্ধ্য-তিব্বতি ভাষায় লেখা এক রহস্যময় পুঁথি আর পঞ্চাশ ফুট জলের নীচে পড়ে থাকা এক হিরের কৌটোর মধ্যে। ওদিকে আবার প্রায় রাত্রেই নাথুলাপাসের নির্জন প্রান্তরে বসে থাকতে দেখা যায় দুজন সৈনিককে। তাঁরা কারা? তাদের গায়ে এত বরফই বা লেগে থাকে কেন? দিনের আলোতেই বা তাদের কখনও দেখা যায় না কেন?
রহস্য যখন জমজমাট তখন টিনটিন, প্রোফেসর ক্যালকুলাস, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, কুট্টুস আর গাবলুদের সেই পোড়ো মনাস্ট্রিতে এক তুষারঝঞ্জার রাতে এসে হাজির কুশল, আগমনি, পলাশ, কণাদ, অপরেশ, দেবাংশু আর সৈকতও। কী হল তারপর?