তন্ত্রসাধক এবং যোগীরা বলেন সময় গেলে সাধন হবে না। কথাটি সত্য, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু কেমন হবে যদি কোন সাধক হয়ে ওঠে সময়ের যাত্রী , কালের পথিক? ভৈরবের উত্থান ও তন্ত্রযাত্রা শুরুর পর সে হয়ে উঠেছে কালের পথিক। বাঁধা পড়েছে কালচক্রে। কী তার কর্তব্য? তার গন্তব্যই বা কোথায়? এই কালের বীথিকায় সে তো একা নয়; আরও পথিক তেমনি পথ চলেছে। কেউ জেনে কেউবা নিজের অজ্ঞাতেই। তাদের সঙ্গে কি দেখা হবে ভৈরবের ?
বেটিরহাট গ্রামের দক্ষিণে পুরনো শ্মশানের ধারে ডোমাইদিঘী নামের ছোট্ট একখানি পরগনা। সেখানে কয়েক ঘর ডোমের বাস। হঠাৎই একদিন সেখানে প্রাদুর্ভাব দেখা দিল অজানা এক ভীষণ মহামারীর। এই মহামারীর সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারে একটিমাত্র শিশু। তাকে হতে হবে অযোনী জাত। কেউ কি পারবে তাকে আহবান করে আনতে?
মানুষের লোভ বড় বালাই! এই লোভকে সংবরণ করতে পারলে জীবন হয় সহজ, নিষ্কলুষ। কিন্তু কজন পারে নিজের লোককে জয় করতে? যারা পারেনা তাদের জন্য অন্ধকারের আড়ালে থাবা পেতে বসে থাকে, এক অতি ভয়ংকর শক্তি। তার মায়ার কুহকে মোহাবৃত হয়ে প্রাণ যায় একের পর এক মানুষের। কী হবে তাদের পরিণতি?
‘কালবিহঙ্গ’ ও ‘ভৈরব’-এর পর ভৈরব ওঝা ফিরেছে আরও একবার। পাপের করাল ছায়া ঘনাবে যতবার, মেঘের আড়াল থেকে প্রাণদায়ী সূর্যরশ্মির মত ভৈরব নেমে আসবে ততবার… বারবার… প্রতিবার…