একসময় বেহালায় বাঘ দেখা গিয়েছিল! এ কথা শুনে চমকে যায় বুজাই। এমনকি কলকাতায় নাকি বাঘ বিক্রি করাও হয়েছিল!
বুজাইয়ের স্কুলে শীতের ছুটি চলছে। ওদের বেহালার বাঁশতলার বাড়ি এখন পিসি, জেঠু, বাবা,কাকুদের গল্পে আড্ডায় জমজমাট। বেহালা সম্পর্কে অনেক তথ্য উঠে আসে আলোচনায়। আবার, বেহালার অজানা ইতিহাস জানায় শিবুজেঠুও। শ্রীমন্ত সদাগর বা বেহুলার গল্পের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে প্রাচীন বেহালা! আরও জানতে পারে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য থেকে রবীন্দ্রনাথ, নেতাজি, শরৎচন্দ্র, জেমস লঙ, মোহিনী চৌধুরী, ছোট ফনী, সমর সেন, জীবনানন্দ, শম্ভু মিত্র- এরকম অনেক বিখ্যাত মানুষের সঙ্গে বেহালার নাম জড়িয়ে রয়েছে। বুজাই শোনে বসন্ত রায়ের কাহিনি, বেহালার নামকরণের ইতিহাস, বেহালার পথঘাট, খাবারের দোকান, মন্দির, বিমানবন্দর, রঙ্গমঞ্চ, মিউজিয়াম, শিক্ষায়তন, ক্লাব, লাইব্রেরি বা বিভিন্ন সংগঠনের কথা। এদিকে বুজাইদের বাঁশতলার গলির ঝিলপাড়ের বাড়িতে এসে উঠেছে এক পর্তুগিজ সাহেব ফ্রান্সিসকো তার মেয়ে মারিয়ানাকে নিয়ে। রাত্রির অন্ধকারে সাহেবের বেহালার মূর্ছনায় ভরে যায় ঝিলপাড়ের নির্জন ঝোপঝাড়- জঙ্গলময় এলাকা। সেই সাহেবের বাড়িতে চোর আসে। সেই সূত্রে গুপ্তিপাড়ার বুদ্ধদারোগার সঙ্গে আবার দেখা হয় বুজাইয়ের। পর্তুগিজ সাহেবের এক পূর্বপুরুষ ছিল হার্মাদ- জলদস্যু। তার নাকি একটা লুকনো মানচিত্র আছে৷ সেই মানচিত্রে আছে তার রেখে যাওয়া গুপ্তধনের সন্ধান। সে জন্যই কী চোরের উপদ্রব শুরু হল পর্তুগিজ সাহেবের বাড়িতে? ফ্রান্সিসকোর বাবাকে কী সত্যিই খুন করা হয়েছে? রহস্য দানা বেঁধে ওঠে। সেই রহস্যের অনুসন্ধানে বুজাইয়ের সঙ্গী হয় রায়া, দিয়া, শাশ্বতদাদা আর ম্যাজিক। সঙ্গে থাকে ডাম্বেল সেন আর শিবুজেঠুও। অলক্ষ্যে থেকে নেতৃত্ব দেয় ওর ঠাম্মা- আগাথা ক্রিস্টির অনুরাগী পাঠিকা। বুজাইদের পিছু নেয় কারা? টানটান উত্তেজনার মধ্য দিয়ে কাহিনি এগিয়ে চলে। শেষ পর্যন্ত কী বুজাইরা রহস্যের উন্মোচন করতে পারে? গুপ্তধন কী সত্যিই আছে? জানতে গেলে পড়তে হবে অমিতাভ রায়ের উপন্যাস "বেহালার বেহুলাকথা এবং গুপ্তমানচিত্র রহস্য"।