কলকাতার কলামন্দিরে মঞ্চস্থ হচ্ছে এক রুদ্ধশ্বাস নাটক। হল ভর্তি দর্শক। অনেকবছর পর স্টেজ থিয়েটারে ফিরছেন জনপ্রিয় ও সফল অভিনেত্রী চন্দ্রলেখা মুখার্জী। তাই বিগত কয়েকদিন ধরে সিনেপ্রেমী ও সংবাদ মাধ্যমের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই স্টেজ নাটকটি।
কিন্তু এ কী? ছিটকে পড়লেন নায়ক পিছনের দিকে, আর নায়িকাও লুটিয়ে পড়ল স্টেজে। নায়িকার মুখ ভেসে যাচ্ছে রক্তে। যতক্ষণে হল ভর্তি দর্শকের সম্বিৎ ফিরল ততক্ষণে জনপ্রিয় অভিনেত্রী চন্দ্রলেখা মুখার্জী নিহত।
ফিল্মি দিনিয়ার ঝাঁ চকচকে কেতাদুরস্ত জগত সাধারণের কাছে এক অলীক দুনিয়া যেন। কী চলে সে অলীক দুনিয়ার অলিন্দে? সবাই কি সত্যিই খুশী সেখানে? ভালোবাসা-বন্ধুত্ব-বিশ্বাস-প্রতিহিংসা – এগুলোরই বা সংজ্ঞা কী সেখানে?
অভিনেত্রী চন্দ্রলেখা মুখার্জী হত্যার মূলে কি পারিবারিক সংঘাত? ফিল্ম দুনিয়ার ইঁদুর-দৌড়ে হেরে যাওয়া কারুর প্রতিহিংসা? না, সেলুলয়েডের অলীক পৃথিবীর আলো-হাসি-আনন্দের আড়ালে সযত্নে লুকিয়ে রাখা চন্দ্রলেখার অন্ধকার অতীত?
সবচেয়ে নামী প্রযোজনা সংস্থার বিরুদ্ধে গড়ে উঠছে শিল্পীদের ক্ষোভ। কিন্তু কেন? ক্ষোভ ধীরে ধীরে রূপ নিচ্ছে আন্দোলনের, যার পুরোভাগে ছিলেন চন্দ্রলেখা। তাহলে কি কোনও রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার চন্দ্রলেখা?
আধুনিক বাংলা চলচ্চিত্র জগতের পটভূমিকায় দুর্বার বেগে ছুটে চলা এই রহস্য উপন্যাস উন্মোচিত করে রুপোলি পর্দার পিছনে নিরন্তর চলতে থাকা রিপুর তাণ্ডব এবং তা’ থেকে জন্ম নেওয়া পাপের ইতিহাস|