এটি ২টি ভৌতিক ও অলৌকিক ঘরানার বইয়ের কম্বো। বই ২টির নাম দখমা (লেখক অঙ্কুর বর) ও ভৈরব ২ (লেখক দীপাঞ্জনা দাস)
ভৈরবঃ
তন্ত্রসাধক এবং যোগীরা বলেন সময় গেলে সাধন হবে না। কথাটি সত্য, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু কেমন হবে যদি কোন সাধক হয়ে ওঠে সময়ের যাত্রী , কালের পথিক? ভৈরব বাঁধা পড়েছে কালচক্রে। কী তার কর্তব্য? তার গন্তব্যই বা কোথায়?
বেটিরহাট গ্রামের দক্ষিণে পুরনো শ্মশানের ধারে ডোমাইদিঘী নামের ছোট্ট একখানি পরগনা। সেখানে কয়েক ঘর ডোমের বাস। হঠাৎই একদিন সেখানে প্রাদুর্ভাব দেখা দিল অজানা এক ভীষণ মহামারীর। এর সমাধান সূত্র কোথায়?
মানুষের লোভ বড় বালাই! লোভ সংবরণ করতে না-পারলে তার মায়ার কুহকে মোহাবৃত হয়ে প্রাণ যায় একের পর এক মানুষের!
‘কালবিহঙ্গ’ ও ‘ভৈরব’-এর পর ভৈরব ওঝা ফিরেছে আরও একবার। পাপের করাল ছায়া ঘনাবে যতবার, মেঘের আড়াল থেকে প্রাণদায়ী সূর্যরশ্মির মত ভৈরব নেমে আসবে ততবার… বারবার… প্রতিবার…
* * * *
দখমাঃ
দখমা। পারসি এই শব্দটিকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘টাওয়ার অফ সাইলেন্স’। সোজা ভাষায় পারসিদের শ্মশান।
দশম শতাব্দীর শেষদিক। পারস্য দেশের পরিত্যক্ত শহর ইয়াজদ। এক বিশেষ উপাচার। উদ্দেশ্য, শাসকের নজর এড়িয়ে হিন্দুস্থানের মাটিতে পৌঁছোনো। উপাচারে প্রয়োজন তেরজন কিশোরীর দেহ। কিন্তু? সুদূর পারস্যর ইয়াজদ থেকে ‘রাহ মারদেগান’-এর পথ ধরে কোন্ অন্ধকার শক্তি পা রাখল, সৌরাষ্ট্রের দ্বীপ অঞ্চলের নব্য নির্মিত দখমাতে?
দিউ শহরের সীমানার বাইরে দক্ষিণ পশ্চিমের একটি ছোট দ্বীপ ‘কোরে’। সেই দ্বীপের অগ্নিমন্দিরের প্রধান উপাসক দারিয়াস কাজরা কেন এলাকারই মরিয়ম আদনানেন দেহ, সাধারণ দখমাতে না রেখে, নারবালির পোড়ো দখমাতে রাখতে বললেন? কেনই বা নিখোঁজ হচ্ছে এখনকার অন্য ধর্মের মানুষেরা? এক নিষিদ্ধ হাওয়া... নিষিদ্ধ পুবের জঙ্গল... লোকচক্ষুর আড়ালে ঘটে-যাওয়া এক সওদা...
একদল অপহরণকারী অনভিপ্রেত আগমন কোরেতে। কারণ? নাকি কারো চক্রান্ত? শুরু হয়েছে এক ভয়ঙ্কর মরণের খেলা। কে বেঁচে ফিরবে এখান থেকে? আদৌও কি বেঁচে ফেরা সম্ভব? নাকি অতীতের গর্ভে আশ্রয় নিয়ে থাকা ‘আফতে পরেস্ত’ একে একে গিলে খাবে ওদের সকলকে?