'বিভা এরকুল পোয়ারো' সিরিজের তৃতীয় খণ্ডে আমাদের এবারের পেশকশ আগাথা ক্রিস্টির লেখা তৃতীয় তথা গোয়েন্দা এরকুল পোয়ারোকে নিয়ে লেখা দ্বিতীয় উপন্যাস- 'দ্য মার্ডার অন দ্য লিঙ্কস্।'
১৯২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৯২৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে, মোট চারটি অংশে, এই উপন্যাসটি 'গ্র্যান্ড ম্যাগাজিন' নামক পত্রিকায় 'দ্য গার্ল উইথ দ্য অ্যাংশাস আইস' নামে প্রকাশিত হয়। বই হিসেবে প্রকাশের সময় এটির নাম বদলে যায়। ১৯২৩ সালের মার্চ মাসে 'ডড, মিড অ্যান্ড কো' থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ওই বছরেরই মে মাসে 'দ্য বডলে হেড' থেকে যুক্তরাজ্যে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় এটি।
প্রকাশের পর উপন্যাসটি পাঠকের অকুণ্ঠ ভালোবাসা আদায় করেছিল। 'দ্য টাইমস্ লিটারারি সাপ্লিমেন্ট', 'দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস্ বুক রিভিউ' এবং অন্য বিভিন্ন সমকালীন পত্রপত্রিকা উপন্যাসটির গঠন, চরিত্রনির্মাণ, সর্বোপরি রহস্যটির ধরন ও তার উন্মোচনের ভুয়সী প্রশংসা করেছিল।
ক্রিস্টির জীবনীকার লরা থম্পসন বলেছেন, এই উপন্যাসটি লেখার জন্য ক্রিস্টি ফ্রান্সে ঘটে যাওয়া একটি বাস্তব অপরাধের ওপর নির্ভর করেছিলেন। হয়তো সেজন্যই লেখাটি ব্রিটিশের বদলে একটু ফরাসি ধাঁচেরই হয়েছে; যেখানে আমরা আবেগ, বেগ এবং আপাতভাবে অসম্ভব রহস্যের এক অনন্য মিশ্রণ পাই। তবে সবকিছু ছাপিয়ে যায় রহস্যের রানির হাতে মানবমনের আলো-অন্ধকারের বর্ণনা; যেখানে ষড়রিপুর টানে জীবনে তৈরি হয় নিজস্ব নরক, আবার অপ্রত্যাশিত প্রেমের স্পর্শে গড়ে ওঠে স্বর্গ।