এ পৃথা গর্ভে সন্তান নিয়ে মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়াতে চায়। সমাজ চায় প্রমাণ লোপ হোক। যার ঔরসে জাত সেই যখন
আর পৃথিবীতে নেই, কেন তার সন্তানকে আনতে হবে আলোয়? পৃথার বাবাও চাননি। পৃথা চলে যায় নির্জনে। চূড়ান্ত নিস্তব্ধতায় পৃথা নতুন করে আবিষ্কার করে
নিজেকে। এ উপন্যাস যেমন ঘাত-প্রতিঘাতে অস্থির, তেমনি এক গভীর দর্শনে এ কাহিনি
যেন এক মায়ামৃগ। পৃথা এমন এক নারী যার আবেদন কাঞ্চনজঙ্ঘার মতো, যার জীবন না-খোলা ঝিনুকের মতো, যার রূপ খোলা তরবারিতে জ্যোৎস্না লেগে থাকার মতো। পৃথা কী এই জীবন চেয়েছিল? যে জীবন আমরা চাই, সে জীবন আমরা কি পাই? ঔপন্যাসিক মৌমিতা দর্শনের কোরক থেকে, যৌনতার অগ্নুৎপাত থেকে, জীবনের ছারখার থেকে তুলে এনেছেন। একটা টানটান গতিশীল কাহিনিSahitya