দাবার ছকে জড়িয়ে সবাই... সাদা রঙের রাজার অজান্তেই বিপজ্জনকভাবে তার দিকে এগিয়ে আসছে কালো রঙের রাণী... এক রহস্যময় ফেসবুক প্রোফাইল... মৃত্যু্র আগেই হচ্ছে ডেথ ফোরকাস্ট... একমাত্র ক্লু, এক অপূর্ব সুন্দর কৃষ্ণাঙ্গীর ছবি... কে বা কারা আছে এর নেপথ্যে? কীসের মারণ খেলাতেই বা মেতেছে সে? দুই ধনকুবেরের রহস্যময় মৃত্যু... ফরেনসিক বলছে স্বাভাবিক মৃত্যু, তবুও... অনুতাপে দবগ্ধ হচ্ছে মেয়েটি... কীসের অনুতাপ? কেন সে ভয় পায় অন্ধকারকে? জট বাঁধছে রহস্যের উপর রহস্য...
*** চুপি চুপি আসছে ***
বত্রিশ বছর আগের ঘটনা... সিরিয়াল কিলিং… ডাম্প করা হল পাঁচজন পুরুষের লাশ, পাঁচটি পুলিশ স্টেশনের সামনে... মাথার জায়গায় বসানো হাঁড়ি... হাঁড়ির ওপর রক্ত দিয়ে লেখা -- 'গেস হু?'
কেন আবার দরকার পড়ল রি-ইনভেস্টিগেশনের...
একজন প্যাথলজিকাল লায়ার... সবকিছুতে সে মিথ্যে বলে, এমনকি নিজের নাম পর্যন্ত...
‘সার্জিক্যাল স’ হাতে সে হানা দেয় চুপি চুপি... কিন্তু কেন? কে সে? কেনই বা সে মেতেছিল এই হত্যালীলায়?
বত্রিশ বছর পরে কি কেস সলভ হবে? নাকি অধিরাজ স্বয়ং হয়ে যাবে খুনীর দশম শিকার!!
একশো এক বি হস্টেল রুম, জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ--হন্টেড রুম নামে পরিচিত। ত্রিশ বছর আগে শ্রেয়স নামের একটি ছেলের রহস্যময় মৃত্যু ঘটে সেই রুমে। তার দশ বছর পরে ঐ ঘরে ঘটে আরও একটি মৃত্যু! দুজনেরই মৃত্যুর কারণ কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট-অয়াটাক।
অধিরাজদের কাছে গোপনসূত্রে খবর আসে, সুপারি কিলার কালিয়া সুপারি পেয়েছে মাস-মার্ডারের। কিন্তু কালিয়া কিছু করার আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু ঘটছে তাদের। হয় কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট-অয়াটাক নইলে অক্সিডেন্ট। অতীত কি তবে আবার ফিরে আসতে চাইছে বর্তমানে?
কার্ডিয়াক ফেইলিওর বা হার্ট-অয়াটাককে কি মার্ডার বলা চলে? কিন্তু মোডাস অপারেন্ডি? গুলি নেই, ছুরি নেই, বিষও নেই! তবে ভিকটিমরা মরছে কী করে? সূত্র শুধু একটাই—ভয়।
-- ‘যো ডর গয়া, সমঝো মর গয়া! আমি ভয় পাই, তাই ভয় দেখিয়েই মারি। পারলে কেউ আমাকে থামিয়ে দেখাক।'